মাদারীপুর প্রতিনিধি:
পরকীয়ার জেরে স্বামী আলহাজ সর্দারকে পিঠার সাথে ওষুধ খাইয়ে হত্যার দায়ে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত স্ত্রী আসমা বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও আর্থিক জরিমানা করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই রায় দেন।
মামলার বিবরনী থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারী জেলার কালকিনি থানার রামনগর গ্রামের ছত্তার সর্দারের ছেলে আলহাজ সর্দারকে পরকীয়া প্রেমের কারণে তার স্ত্রী আসমা বেগম খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এই ঘটনায় পরের দিন ডাসার থানায় নিহতের বোন সাজেদা বেগম বাদী হয়ে স্ত্রী আসমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক কালকিনি উপজেলার রামনগর গ্রামের লাল মাহমুদ সর্দারের ছেলে রাব্বি সর্দারকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশি তদন্তে রাব্বি সর্দারকে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরে আদালত মামলাটি ব্যাপক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামী আসমা বেগম দোষী প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন। এসময় আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও নিহতের স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রায় শুনে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, বিজ্ঞ আদালতের রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। পরকীয়ার জেরে যাতে আগামীতে আর কেউ এরকম অপকর্ম করতে না পারে, এই রায়ের মাধ্যমে সেটিই প্রমাণিত হলো। দোষী আসমা বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন আদালত। এছাড়া অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
নিহতের বোন ও মামলার বাদী সাজেদা বেগম বলেন, ‘আমাদের চাওয়া ছিল আসামীকে ফাঁসি দিবে আদালত। কিন্তু সেটা না দিলেও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেয়ায় আমরা খুশি হয়েছি। এতে আমার মৃত ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে।’